শিরোনাম
আমাদের ডেস্ক : | ০৬:২২ পিএম, ২০২৪-০১-১৬
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পাহাড় কেটে সাবাড় করছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। পাশাপাশি পাহাড়ে থাকা মূল্যবান প্রজাতির গাছও সাবাড় করছে চক্রটি। পুলিশি সহায়তা না পাওয়ার অজুহাতে হাত গুটিয়ে আছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা। দিনের পর দিন স্কেভেটরের সাহায্যে পাহাড় কেটে সাবাড় করলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেননি তারা। উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের বড়দুয়ারা মইন্নার টেক এলাকায় বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের গা ঘেঁষে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার এ যজ্ঞ চলছে।
জানা গেছে, পাহাড় কাটার অবৈধ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাহেদ ও নুরু। তাদের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসাবে কাজ করছেন মোক্তার ও আলমগীর নামে আরও দুজন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। প্রতিরাতে স্কেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে ডাম্পার ট্রাকের মাধ্যমে স্থানীয় ভিটে-পুকুর ভরানোর কাজে সরবরাহ করছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে তারা পাহাড় কাটছেন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস আদালত বন্ধ থাকায় তাদের ধরাপড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই তারা এ সময়কে নিরাপদ ধরে নিয়ে পাহাড় কাটার কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, বনবিভাগ নামেমাত্র অভিযান চালায়। তাদের কিছুই করেনা। ‘গা বাঁচাতে’ মামলা করে দায় সারে কর্মকর্তারা। তাদের ধরতে বললে দেখিয়ে দিলে তারা নানান অজুহাত দেখান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, পাহাড়খেকোদের সঙ্গে মিলেমিশে বিট অফিস পরিচালনা করেন কর্মকর্তারা। অভিযুক্ত মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমিতো মাটির ব্যবসা করি না। তবে মইন্যার টেক এলাকায় যে পাহাড় কাটা হচ্ছে সেই পাহাড়ের পাশে আমার মৎস্য খামার এবং দোকান রয়েছে। খামারে এবং দোকানে আসা যাওয়ার পথে লোকজন হয়তো আমাকে দেখেছে। এজন্য পাহাড় কাটার সাথে আমি জড়িত আছি ভাবছে। প্রকৃতপক্ষে আমি পাহাড় কাটার সাথে জড়িত নই। কারা কাটছে সেটাও আমি জানি না। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা বাজালিয়ার হলুদিয়ার মইন্যার টেক এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পদুয়া রেঞ্জের আওতাধীন বড়দুয়ারা ফরেস্ট বিট কাম চেক স্টেশনের মালিকানাধীন বেশ কিছু পাহাড় রয়েছে। পূর্ব ও উত্তর পার্শ্বের পাহাড়গুলোতে সরকারি আকাশমনি বাগান রয়েছে। পশ্চিম ও দক্ষিণ পার্শ্বের পাহাড়ে রয়েছে আগর বাগান। মইন্যার টেক এলাকায় কেরানীহাট–বান্দরবান সড়কের উত্তর পাশে ছোট একটি পাহাড় ছিল। ওই পাহাড়ে কয়েকটি শতবর্ষী মাদারট্রি ছিল। এছাড়া কাটার উপযোগী বেশ কিছু আকাশমনি গাছ ছিল। এখন একটি মাত্র গর্জন গাছ ছাড়া সব গাছ সাবাড় করে দিয়েছে। পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক অংশ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এ ব্যপারে বড়দুয়ারা বিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড় কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিটে জনবল স্বল্পতার কারণে শক্তিশালী এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়া তারা সবাই দলীয় লোকজন। পাহাড় কাটার সময় সিন্ডিকেটের লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকে। তিনি আরো বলেন, ‘সাতকানিয়া পুলিশ প্রশাসন ওই এলাকায় অভিযানে সহযোগিতা করছে না। এটা আমার বিটের আওতাধীন এলাকা হলেও বান্দরবান জেলার ভেতরে। যেহেতু সাতকানিয়া বর্ডারের বাইরে বান্দরবানের প্রশাসনিক এলাকা সেহেতু সাতকানিয়া থানা পুলিশ ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করতে নারাজ। বান্দরবান পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দেননি।’
আমাদের ডেস্ক : : দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি-ফুড) কার্যালয়ে আছে ৪৫৭ জন পরিবহন ঠিকাদার। তাদের মেয়াদ শেষ ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে শিশুদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্র...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এ পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্তের ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : বাংলাদেশের আকাশ আজ দেশদ্রোহী, জুলুমবাজ,লুটেরা মাফিয়ার কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ১৫টি চেক প্রতারণার মামলায় ৯টিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হককে গ্রেফতার করেছে র&zw...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited