শিরোনাম
ঢাকা অফিস :: | ১১:৪২ এএম, ২০২২-০৩-০১
বছর ঘুরে আবারও এলো অগ্নিঝরা মার্চ, স্বাধীনতার মার্চ। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস। ১৯৭১ সালের এ মাসে পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে তীব্র সংগ্রাম গড়ে তোলে বাঙালি জাতি।
বাঙালির জীবনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক মাস ফেব্রুয়ারির পর মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এ মার্চেই। এ মাসেই বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তাল একাত্তরে পুরো মার্চ মাসজুড়ে বাঙালির চোখে ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই।
৭১-এর ১ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো স্লোগান দেয়, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানায়। বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ। এরপর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণেই বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সারাদেশের ছাত্র-জনতা স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারশেন সার্চলাইট’র নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। রক্তের বন্যা বইয়ে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীজুড়ে। এ অন্যায়ের প্রতিরোধেই শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। লাখো শহীদের রক্ত ও অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে ৯ মাস পর ধরা দেয় বিজয়ের নতুন সূর্য। বছর ঘুরে এক অন্যরকম পরিবেশে এবার বাঙালির জীবনে এসেছে মার্চ। এবারের মার্চটি ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হবে। এবার একইসঙ্গে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে একযোগে। এ দুটি মাহেন্দ্রক্ষণ একযোগে উদযাপনের কর্মসূচি আগের বছর শুরু হলেও অতিমারি করোনার কারণে জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।
অগ্নিঝরা মার্চ মাসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
ঢাকা অফিস :: : সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করছে বিআরটিএ বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্য...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সোমবার(১৫ এপ্রিল)রাতে সন্ত্রাসীদের সংঘবদ্ধ হ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজারের চকরিয়ায় এরফান আরা বেগম (৬৯) নামে এক অসহায় বিধবাকে তার স্বামীর বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের চ...বিস্তারিত
চকরিয়া প্রতিনিধি: : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল গাফফার এবং মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নামে দুই ভাইয়ের যোগসাজশে জ...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : প্রতিদিন চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী মানুষ তাদের মামলা- মোকদ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Coxsbazar | Developed By Muktodhara Technology Limited